ঐতিহাসিক লর্ডসে দক্ষিণ আফ্রিকা বনাম অস্ট্রেলিয়ার মুখোমুখি লড়াইয়ে একদিনে পড়ল ১৪টি উইকেট! দক্ষিণ আফ্রিকার দাপটে অস্ট্রেলিয়া অলআউট ২১২ রানে। তবে দিন শেষে ব্যাট হাতে বড় চাপে বাভুমাদের দল—স্কোরবোর্ডে মাত্র ৪৩ রানে নেই ৪ উইকেট

বিশ্ব টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের ফাইনালের প্রথম দিনেই ক্রিকেটপ্রেমীরা পেলেন একেবারে টানটান উত্তেজনা। ঐতিহাসিক লর্ডসে দক্ষিণ আফ্রিকা বনাম অস্ট্রেলিয়ার মুখোমুখি লড়াইয়ে একদিনে পড়ল ১৪টি উইকেট! দক্ষিণ আফ্রিকার দাপটে অস্ট্রেলিয়া অলআউট ২১২ রানে। তবে দিন শেষে ব্যাট হাতে বড় চাপে বাভুমাদের দল—স্কোরবোর্ডে মাত্র ৪৩ রানে নেই ৪ উইকেট।
সকাল থেকেই মেঘলা আকাশ। এমন কন্ডিশনে টস জিতে প্রথমে ফিল্ডিং করার সিদ্ধান্ত নেন প্রোটিয়া অধিনায়ক টেম্বা বাভুমা। তাঁর সিদ্ধান্ত যে ভুল ছিল না, সেটা প্রথম সেশনেই বুঝিয়ে দিলেন কাগিসো রাবাডা এবং মার্কো জানসেন। দুরন্ত সুইং আর নিখুঁত লাইন-লেংথে অজি ব্যাটিং লাইনআপে ধাক্কা দিতে সময় নেননি তাঁরা।
রাবাডা সপ্তম ওভারে একসঙ্গে ফিরিয়ে দেন উসমান খোয়াজা (০) এবং ক্যামেরন গ্রিন (৪)-কে। স্লিপে বেডিংহ্যাম ও মার্করামের ক্যাচিং ছিল চোখে পড়ার মতো। এরপর কিছুটা স্থিতি ফেরান স্মিথ ও লাবুশেন। কিন্তু জানসেনের এক বাউন্সার লাবুশেনের মনঃসংযোগ নষ্ট করে দেয়। পরের বলেই কিপারের হাতে ধরা পড়েন তিনি (১৭)।
চা-বিরতির আগে শেষ বলে জানসেন ফেরান ট্রেভিস হেডকে। এক হাতে দুরন্ত ক্যাচ নেন কিপার কাইল ভেরেইনি। ম্যাচের মোড় ঘুরে যায় সেখানেই।
অস্ট্রেলিয়ার ইনিংসে স্মিথ (৬৬) ও ওয়েবস্টার (৭২) ছাড়া কেউই লড়াই করতে পারেননি। শেষ ৫ উইকেট পড়ে মাত্র ২৩ রানে। রাবাডা তুলে নেন ৫ উইকেট, জানসেন ৩টি, বাকিগুলি ভাগ করে নেন মহারাজ ও মার্করাম।
জবাবে ব্যাট করতে নেমে দক্ষিণ আফ্রিকাও রক্ষা পেল না অজি পেসারদের দাপট থেকে। মাত্র ৪৩ রানেই চার ব্যাটার সাজঘরে। প্রথম দিন শেষ, দক্ষিণ আফ্রিকা এখনও ১৬৯ রানে পিছিয়ে।