
বুধবার হোয়াইট হাউসে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সঙ্গে গুরুত্বপূর্ণ বৈঠকে মিলিত হন পাকিস্তানের সেনাপ্রধান জেনারেল আসিম মুনির। এই বৈঠক হয় ট্রাম্পের মধ্যাহ্নভোজের আমন্ত্রণে। সেই বৈঠকে সন্ত্রাসবাদ, ভারত-পাকিস্তান সংঘর্ষ, ইরান-ইজরায়েল যুদ্ধ এবং দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্য-সহ নানা বিষয়ে আলোচনা হয়। বৃহস্পতিবার পাক সেনার পক্ষ থেকে একটি বিবৃতি জারি করে বিষয়টি নিশ্চিত করা হয়।
স্থানীয় সময় দুপুর ১টায় হোয়াইট হাউসের ক্যাবিনেট রুমে এই রুদ্ধদ্বার বৈঠক হয়। তার আগে ট্রাম্প ফের দাবি করেছিলেন, তাঁর কারণেই ভারত-পাক যুদ্ধ থেমেছিল। বৈঠকে মুনির তা মেনে নেন এবং গোটা পাকিস্তানের পক্ষ থেকে ট্রাম্পকে ধন্যবাদ জানান। ট্রাম্পও পাকিস্তানের আঞ্চলিক শান্তির ভূমিকার প্রশংসা করেন।
তবে ভারতের বিদেশসচিব বিক্রম মিস্রী সেদিনই বলেন, ২০২১ সালে যুদ্ধবিরতির সিদ্ধান্ত ভারত-পাকিস্তান নিজেরাই নিয়েছিল — কোনও বিদেশি মধ্যস্থতা ছাড়াই।
ধরা হচ্ছিল, জি৭ সম্মেলন থেকে ফেরার পথে যদি মোদী ট্রাম্পের আমন্ত্রণে মার্কিন সফরে যেতেন, তবে একই দিনে ট্রাম্পের সঙ্গে মোদী ও মুনিরের বৈঠক হতে পারত — যা নয়াদিল্লির পছন্দ হত না, কারণ একজন প্রধানমন্ত্রী, অন্যজন সেনাপ্রধান।
ইতিহাসে এই প্রথমবার ট্রাম্প কেবল সেনাপ্রধান হিসেবে মুনিরকে আমন্ত্রণ জানালেন, যদিও আগে আয়ুব খান, জিয়া-উল-হক, মুশারফের মতো নেতারা প্রেসিডেন্ট ছিলেন। একে বিরল সম্মান হিসেবেই দেখা হচ্ছে।
এক ঘণ্টার বৈঠক গড়ায় দুই ঘণ্টারও বেশি। আলোচনায় উঠে আসে ইরান-ইজরায়েল যুদ্ধ প্রসঙ্গ। ট্রাম্প বলেন, ‘‘পাকিস্তান ইরানকে খুব ভাল চেনে। ইজরায়েলের সঙ্গে সম্পর্ক খারাপ নয়, কিন্তু ইরানের সঙ্গে গভীর পরিচয় রয়েছে।’’
বিশেষজ্ঞদের মতে, ভূ-রাজনৈতিক কারণে ইরান ঘেঁষা পাকিস্তানে ফের ঘাঁটি গড়তে চাইতে পারে আমেরিকা। যদিও সরকার ইরান সীমান্ত বন্ধ রেখেছে, মুনির স্পষ্ট জানান, পাকিস্তান ইরানের পাশে।
বাণিজ্য নিয়েও গুরুত্বপূর্ণ আলোচনা হয়েছে। বিদ্যুৎ ও প্রযুক্তিতেও সহযোগিতার বার্তা দিয়েছেন ট্রাম্প ও মুনির।
source: ABP Ananda