
জি৭ সম্মেলনে অতিথি হিসেবে অংশ নিতে কানাডা সফরে গিয়েছিলেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। আর এই স্বল্প সময়ের সফরেই একপ্রকার কূটনৈতিক ম্যারাথন চালিয়ে গেলেন তিনি। মাত্র ১০ ঘণ্টায় বিশ্বের গুরুত্বপূর্ণ রাষ্ট্রনেতাদের সঙ্গে ১২টি গুরুত্বপূর্ণ দ্বিপাক্ষিক বৈঠক সেরে ফেলেছেন মোদী। আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে ছিল দ্বিপাক্ষিক সহযোগিতা, প্রযুক্তি, নিরাপত্তা এবং কূটনৈতিক সম্পর্কের ভবিষ্যৎ।
জি৭ সম্মেলনের ফাঁকে মোদী একান্তে বৈঠক করেছেন ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল মাক্রোঁ, ব্রিটেনের প্রধানমন্ত্রী কিয়ার স্টার্মার, ইটালির প্রধানমন্ত্রী জর্জিয়া মেলোনি, অস্ট্রেলিয়ার অ্যান্থনি আলবানিজ়, দক্ষিণ আফ্রিকার সিরিল রামাফোসা এবং জাপানের শিগেরু ইশিবার সঙ্গে। এছাড়াও ছিলেন আরও একাধিক রাষ্ট্রপ্রধান।
বিশেষ নজর কাড়ছে কানাডা-ভারত সম্পর্ক। প্রধানমন্ত্রী মার্ক কার্নের আমন্ত্রণে কানাডায় গিয়েছিলেন মোদী। সেই কার্ন, যিনি তাঁর পূর্বসূরি জাস্টিন ট্রুডোর সময়ের তিক্ততা সরিয়ে নতুন সম্পর্ক গড়ার বার্তা দিয়েছেন। মোদীও দ্ব্যর্থহীন ভাষায় বলেছেন, “ভারত ও কানাডা দু’দেশই বন্ধুত্ব ও সহযোগিতার এক নতুন অধ্যায় শুরু করতে চায়।”
এআই (Artificial Intelligence) থেকে জ্বালানি নিরাপত্তা— নানা বিষয়ে দ্বিপাক্ষিক সহযোগিতার ভিত্তি মজবুত করার লক্ষ্যে আলোচনা হয়েছে। একইসঙ্গে আবার দুই দেশের রাজধানীতে হাইকমিশনার নিয়োগের বিষয়েও ইতিবাচক সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
ফ্রান্স, ব্রিটেন ও ইটালির সঙ্গেও সম্পর্ক দৃঢ় করার বার্তা দিয়েছেন মোদী। বলেছেন, “বন্ধুদের সঙ্গে কথা বলার অনুভূতি সবসময়ই আলাদা।” এক কথায়, কানাডায় মোদীর এই সফর শুধু জি৭ সম্মেলনের সৌজন্যে নয়, বরং একাধিক গুরুত্বপূর্ণ সম্পর্কের ভিত আরও দৃঢ় করার মঞ্চ হয়ে উঠেছে।
source: ABP Ananda